সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
দেশে ‘১৭ লাখ’ মানুষ দুই বেলা অভুক্ত

দেশে ‘১৭ লাখ’ মানুষ দুই বেলা অভুক্ত

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনার সংক্রমণের বিস্তৃতি ঠেকাতে লকডাউনের সময় দেশের প্রায় ৫ শতাংশ দরিদ্র দিনে একবেলার বেশি খাদ্য জোগাড় করতে পারেননি। অর্থাৎ তারা দুই বেলা অভুক্ত থেকেছেন। দরিদ্র মানুষের ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ‘কোভিড-১৯ এর প্রভাব: দরিদ্র মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক এই জরিপ পরিচালনা করেছে খাদ্য অধিকার আন্দোলন।
গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ৩৭টি জেলায় প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে এই জরিপ ৮৩৪ জনের ওপর পরিচালনা করা হয়। দরিদ্র মানুষ হিসেবে রিকশাচালক, হকার, দিনমজুর, ক্ষুদ্র দোকানি, কৃষি শ্রমিক এবং গৃহকর্মীরা জরিপে অংশ নেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে দরিদ্রের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ২৮ লাখ। সেই হিসাবে পাঁচ শতাংশ দরিদ্র দুই বেলা অভুক্ত থাকলে গোটা দেশে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭ লাখেরও বেশি।
জরিপের তথ্যানুযায়ী করোনার প্রভাবে দেশের ৯৮ দশমিক ৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে। ফলে খাদ্য সংকটে ছিল তারা। অন্তত ৮৭ শতাংশ দরিদ্রের পক্ষে তিনবেলা খাদ্য জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রাম এবং শহর প্রায় সমান হারে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে বেলা ১১টায় জরিপের ফল প্রকাশ করা হবে।
জরিপের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ড. নাজনীন আহমেদ। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. খলীকুজ্জমান আহমদ জরিপ প্রক্রিয়া তদারক করেছেন। জরিপে দেখা যায়, দরিদ্রদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হারে ৭০ শতাংশ আয় কমেছে সিলেট বিভাগে। সবচেয়ে বেশি ৪১ শতাংশ খাদ্য সংকটের কথা বলেছেন চট্টগ্রামের দরিদ্র মানুষ। করোনায় দোকান বন্ধ ছিল বরিশালে সবচেয়ে বেশি ২৩ শতাংশ। একই বিভাগের দরিদ্ররাই বেশি ২৫ শতাংশ হারে কাজ হারিয়েছেন দেশের অন্য বিভাগের তুলনায়।
জরিপে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে যেসব দরিদ্র মানুষ তিনবেলা খেতে পারতো, জরিপকালীন তাদের মধ্যে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে পেরেছেন। এমনকি ৫ শতাংশ দরিদ্রকে দিনে একবেলা খেতে হয়েছে। যারা লকডাউনের মধ্যেও তিনবেলা আহার জোগাড় করতে পেরেছেন তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৯৫ শতাংশই গড়ে তাদের এই কষ্টের কথা বলেছেন। ৮০ শতাংশ বলেছেন তারা সপ্তাহে দুই দিনের বেশি পুষ্টিকর খাবার শিশুদের দিতে পারেননি।
খাদ্য জোগানের দিক থেকেও সবচেয়ে বেশি সংকট ঢাকা বিভাগের দরিদ্রদের। এদের প্রায় ৭০ শতাংশই খাদ্য জোগাড় করতে সমস্যায় পড়েছেন। ঢাকার পরই রংপুর বিভাগের অবস্থান। রংপুরের ৬৮ শতাংশ দরিদ্রকে এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। খাদ্য জোগানের অন্যান্য অসুবিধার মধ্যে রয়েছে খাদের পুষ্টিকর খাবারের সংকট, খাদ্য গ্রহণে ধার করতে বাধ্য হওয়া ইত্যাদি। অর্থ ধার করে খাদ্য জোগাড় করতে হয়েছে এমন দরিদ্রদের হার ময়মনসিংহে বেশি। এই বিভাগের ৩২ শতাংশ দরিদ্রকেই খাদ্য জোগানে অর্থ ধার করতে হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com